নিউজ ডেস্ক
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মেয়ে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন হয়েছেন। এ সময় স্ত্রী, শ্যালক ও শ্বশুর আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (৭ জুন) মধ্যরাতে উপজেলা শহরের মাদ্রাসাপাড়ায় এই খুন-জখমের ঘটনা ঘটে।
নিহত শেফালি অধিকারী (৫০) আলমডাঙ্গা মাদ্রাসাপাড়ার সদানন্দ অধিকারীর স্ত্রী। আহত ব্যক্তিরা হলেন সদানন্দ অধিকারী (৫৫) এবং তাঁর ছেলে আনন্দ অধিকারী (৩০) ও মেয়ে ফাল্গুনী অধিকারী (২৫)।
অভিযুক্ত মেয়েজামাই অসীম কুমার ভট্টাচার্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কনষ্টেবল।
হতাহত ব্যক্তিদের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, নয় বছর আগে ফাল্গুনীর সঙ্গে খুলনার দৌলতপুর এলাকার অসীম কুমার ভট্টাচার্যের বিয়ে হয়। অসীম চুয়াডাঙ্গা সিআইডিতে যোগদানের পর স্ত্রী ফাল্গুনী ও ছয় বছর বয়সী একমাত্র ছেলেসন্তান আরাধ্য ভট্টাচার্যকে নিয়ে আলমডাঙ্গা শহরের কলেজপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
এদিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দিলে গতকাল রাতে অসীম স্ত্রী ফাল্গুনীকে বেদম মারধর করেন। ফাল্গুনী ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান।
দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অসীম শ্বশুরবাড়ির দরজায় গিয়ে ডাক দিলে স্ত্রী ফাল্গুনী দরজা খুলে দেন এবং অসীম তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বুক ও তলপেটে আঘাত করেন। ফাল্গুনীর চিৎকারে মা শেফালি এগিয়ে এলে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর ছুরিকাঘাতে জখম হন আনন্দ। সদানন্দকে দেয়ালে মাথা ঠেসে আঘাত করলে তিনিও আহত হন।
আহত ফাল্গুনী ও আনন্দকে মুমূর্ষু অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং সদানন্দকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আলমডাঙ্গা থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি পলাতক রয়েছেন।